স্বদেশ ডেস্ক: ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে সমবেত হয়েছেন প্রার্থী ও কাউন্সিলররা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজকের ভেতরে যে কোনো সময় ভোট গ্রহণ হতে পারে। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সব কাউন্সিলর ঢাকায় এখনো আসতে পারেনি বলে অনেক প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকেরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সাবেক ছাত্রনেতা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিকাল ৫টায় সাবেক ছাত্র নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক আছে। সেজন্য নেতাদের থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কাউন্সিলর ও প্রার্থীদেরকে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলেছে বলে জানা গেছে। প্রার্থীদের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক নয়া পল্টনের অফিসের সামনে দুপুর থেকে অবস্থান নিতে শুরু করে বিকা্লে অফিসের সামনে সমাবেশে পরিণত হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোট প্রার্থী ২৮ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক ১৯ জন।
সভাপতি পদের প্রার্থীরা : ফজলুর রহমান খোকন, হাফিজুর রহমান, মামুন বিল্লাহ(মামুন খান), সাজিদ হাসান বাবু, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা রুবেল, মো এরশাদ খান, মাহমুদুল আলম সরদার ও কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবন।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীরা : মো. শাহনেওয়াজ, আমিনুর রহমান আমিন, জাকিরুল ইসলাম জাকির, তানজিল হাসান, কারিমুল হাই নাঈম, মাজেদুল ইসলাম রুমন, ডালিয়া রহমান, শেখ আবু তাহের, সাদিকুর রহমান, কেএম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন শ্যামল, জুয়েল হাওলাদার, মুন্সি আনিসুর রহমান, মিজানুর রহমান শীরফ, শেখ মো. মসিউর রহমান রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা ও কাজী মাজহারুল ইসলাম।
বিকালে ৫টায় নয়া পল্টনের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় সাবেক ছাত্র নেতাদের সাথে বৈঠক করেন তারেক রহমান। স্কাইপে তিনি নেতাদের সাথে কথা বলেন। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে শামসুজ্জামান দুদু, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ নেতারা আছেন।
তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষে প্রার্থীদের এনে রাখা হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার চতুর্থ জজ আদালত সাবেক কমিটির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহর দায়ের করা মামলায় স্থগিতাদেশ দিলে গত ১৪ সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত কাউন্সিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়।একই সঙ্গে আদালত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।